শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে হামদর্দ ইউনানী
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া এর উদ্দ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। ২১
ফেব্রয়ারী সকালে কলেজের অধ্যক্ষ হাকীম মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলী ও
ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন।
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে হামদর্দ ইউনানী
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া এর উদ্যোগে কলেজের ইউছুফ হারুন অডিটোরিয়াম এ
আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এর সঞ্চালনায় উক্ত
সভায় আরও অংশগ্রহন করেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। বিইউএমএস ও ডিইউএমএস
বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনায় অংশগ্রহন করে।এছাড়াও কলেজর সম্মানিত শিক্ষক
মন্ডলীগন আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া এর
সহকারি অধ্যাপক ডা. মো ওসমান গণী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি,
তাদের জন্য ২১ ফেব্রয়ারী অত্যন্ত গর্বের একটি দিন। এও বলতে হবে, ২১ ফেব্রয়ারী একই সঙ্গে
যেমন বেদনার ঠিক তেমনি আনন্দেরও বটে। বেদনার এজন্য বলছি, কারণ ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে
রফিক, সালাম, বরকতরা শহিদ হয়েছিল। আর আনন্দের এজন্য বলছি, কারণ তাদের রক্ত বৃথা যায়নি।
তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি ভাষায় কথা বলার অধিকার, তাদের রক্তের শক্তি একদিন বাঙালি
জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল স্বাধীনতার। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, হামদর্দ ইউনানী
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল,বগুড়া এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাকীম মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন, তিনি
তাঁর বক্তব্যের শুরুতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ দিবসের আলোচনা
সভায় অংশগ্রহণকারী সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা
ভাষা আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
হিসেবে ঘোষনা করেন। এরপর থেকে সারা বিশ্বে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্য়াদার সাথে
উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার অর্থবহ প্রচলন করলে
শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে বলে আমি মনে করি। অত্র কলেজের সম্মানিত
প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভুঁইয়া স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি,
তিঁনি আমাদের সুস্থ কর্মক্ষম জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন, আমরা
তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীঘার্য়ু কামনা করি।
সভা শেষে অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভুঁইয়া স্যার সহ হামদর্দ
পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য দীঘার্য়ু কামনা করে এবং সকল শহিদের আত্নার মাগফেরাত কামনা
করে দোয়া-মুনাজাত করা হয়। তবারক বিতরণ এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।